ফরহাদ মজহার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠনের সমালোচনা করে বলেন, ‘জনগণের অভিপ্রায় কী হবে, সেটা সাঈদ বা মুগ্ধ বলে যাননি। তাঁদের অভিপ্রায় কী ছিল, সেটা বুঝতে হলে আগে ড. ইউনুসের নেতৃত্বে যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের উচিত ছিল আমার জায়গায় এখানে বসে মতবিনিময় করা। জনগণ কী ধরনের আইন চায়, কী ধরনের রাষ্ট্র চায়, কী ধরনের অধিকার চায়, সেটা প্রশ্ন রাখা উচিত ছিল। তারা কী কখনো জনগণের কাছে এসে বলেছে জনগণ কী চায়? কোনো কৃষকের কাছে এসে বলেছে, এত বড় গণ–অভ্যুত্থঅন হয়ে গেল, কী ধরনের কৃষক নীতি দরকার? পানি নিয়ে, নদী সম্পর্কে, প্রাণ-পরিবেশ-গাছপালা সম্পর্কে জনগণের কী আকাঙ্ক্ষা, কী ইচ্ছা? জনগণ বিচার পাচ্ছে না। সুষ্ঠু বিচারব্যবস্থা গড়ে তুলতে কী করা দরকার?’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার বিরোধিতা করে রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষের একজন মানুষ হিসেবে বলব যে এই ধরনের করিডর দেওয়া উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র যে আমাদের ব্যবহার করতে চাইছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে চাইছে, আরেকটি প্রক্সি ওয়ারে জড়াবে, আমি চাই না বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এ ধরনের প্রক্সি ওয়ারে জড়িয়ে যাক।’
সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অন্যদের মধ্যে লেখক মাহবুব সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।