মিয়ানমারের সেনাশাসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ হলে এর আইনি বাধ্যবাধকতা থাকে। কিন্তু মিয়ানমারের মতো যেসব দেশ রাষ্ট্রপক্ষ নয়, তাদের সেটা থাকে না।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিচারের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে এসা ফাল বলেন, আইসিসির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সেটা ঘটেনি। তাহলে কী ঘটবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো বিচারকেরা এটা করতেও পারেন। কারণ, আইসিসি এখন পর্যন্ত যেসব সাক্ষ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করেছে, সেটা যথেষ্ট শক্তিশালী। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, তাঁদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গত সোমবার বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। সফরটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে সংক্ষিপ্ত সময়ে আজ ঢাকা ছেড়েছেন করিম খান। বাংলাদেশ সফরকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে করিম খানের নেতৃত্বে আইসিসি প্রতিনিধিদল। এ সফরের পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।