এইচআরডব্লিউ বলেছে, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নিরাপত্তা খাত সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্টের’ জন্য সরকার সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে মোতায়েন করেছে। অভিযানে প্রায় ২ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের সমর্থক।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক মীনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দশকের পর দশক ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো নিপীড়নের পর বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি করা উচিত হবে না এবং নিরপেক্ষ আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গুলি এবং গণহারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মতো ঘটনা রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে একটি ‘বিশৃঙ্খল চিত্র’ তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ‘জাতীয় ক্ষত সারিয়ে তোলার জন্য জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার জরুরি’।