৫৭ জন অফিসার মুক্তিযুদ্ধেও শহীদ হননি—এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী দেশের শক্তি। দুঃসময়ে এগিয়ে আসে। ১৯৭১ সালে যখন গোটা জাতি কিংকর্তব্যবিমূঢ়, সেই সময়ে এই সেনাবাহিনীর মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আবার ৭ নভেম্বর একইভাবে এই সেনাবাহিনীই মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করেছে। এবারও দেখেছি, ২৪–এর গণ–অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশপ্রেমী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে।’
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ধ্বংসের চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আশ্রয় নিয়েছেন সেই দিল্লিতে, ভারতে। সেখান থেকে তিনি চক্রান্ত করছেন, পরিকল্পনা করছেন কী করে এই গণ–অভ্যুত্থানের বিজয়ের সব ফলাফল নস্যাৎ করে দেওয়া যায়। সেখান থেকে চক্রান্ত করছেন, বাংলাদেশে কীভাবে আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যায়। একটা অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করা যায়। তারই চক্রান্তে দেখছি বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পক্ষ থেকে একটা অস্থির অবস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না করলে কোনোভাবেই স্থিতিশীল অবস্থা আসবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সে জন্যই বারবার বলেছি, দেশে প্রকৃতপক্ষে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটার জন্যই আন্দোলন করেছি দীর্ঘদিন ধরে। সেই জায়গায় বিভিন্ন রকম প্রশ্ন তুলে একটা নৈরাজ্যের দিকে দেশকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।