বর্ষার আগে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে


জলাবদ্ধতা নিরসনে চার প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ৮ হাজার ৩১২ কোটি টাকা খরচ করার পরও ভারী বৃষ্টি হলে তলিয়ে যায় নগর। নতুন করে দুটি সমস্যা দেখা দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে। চাহিদা অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ না পাওয়া এবং খাল ও খালের পাড়ে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আইনি জটিলতা। এই পটভূমিতে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলায় একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, যাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা সমস্যা দীর্ঘদিনের। সেখানে এক মেয়র গিয়ে আরেক মেয়র আসেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেও এক চেয়ারম্যানের স্থলে আরেকজন চেয়ারম্যান আসেন। উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়; কিন্তু চট্টগ্রামবাসীর  প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতার অবসান হয় না।

এবার বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা ইতিবাচক বলেই মনে করি। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় ৫ জানুয়ারি জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে করণীয় নির্ধারণ করতে একটি বৈঠক হয়, যাতে তিনটি সংস্থার দায়িত্ব ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে সব ধরনের পাহাড় কাটা বন্ধের কাজ করবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তর; খাল ও নালা-নর্দমা পরিষ্কারের কাজ সিটি করপোরেশন; জোয়ার প্রতিরোধক ফটকগুলো কার্যকরে কাজ করবে সিডিএ, পাউবো, সেনাবাহিনীর ৩৪ ইসিবি।  কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা ও গভীরতা বজায় রাখতে ড্রেজিং বা খননকাজ করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সার্বিক সমন্বয়ের কাজটি করবেন কাজের বিভাগীয় কমিশনার। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সফর করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটি অবশ্যই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।  



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *