ফ্যাসাদ তৈরির ‘প্ল্যান বি’ রোখা যাবে কীভাবে


এর মাঝেই চতুর্থ পর্যায়ে কয়েকজন পাহাড়িকে মেরে জাতিগত দূরত্ব বাড়ানোর অপচেষ্টা হলো। পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে অনেক অসত্য ভুয়া সংবাদের ফটোকার্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভরে গেল। এতেও দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের নবীন সরকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করল।

পঞ্চম পর্যায়ে খামাখাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক কর্মীদের আসা-যাওয়াকে ঘিরে ‘বহিরাগত’ ইস্যু তৈরির একটা হাস্যকর চেষ্টা দেখা গেল। মনে হচ্ছে, ঢাবির ঐতিহাসিক-সাংস্কৃতিক চরিত্র থেকে একে বিচ্ছিন্ন না করে কারও ঘুম হচ্ছে না। যেন কথিত এই ‘বহিরাগত’দের জন্য সেখানকার শিক্ষা-গবেষণা সব আটকে আছে।

ষষ্ঠত, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়টিতে বিতর্ক হবে জেনেও এর বাস্তবায়নে বাড়তি আগ্রহ দেখা যেতে থাকল বিশেষ মহলে। এতে শিক্ষাঙ্গনে এতদিনকার ঐক্যের পরিবেশটি অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিধ্বস্ত হলো। একই সঙ্গে কয়েকটি মহল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘সাংস্কৃতিক যুদ্ধে’র জ্বালানি জোগানো হতে থাকল নিয়মিত। সবই হলো বা হচ্ছে ‘শহীদ’দের দোহাই দিয়ে।

জাতীয় সংগীত গেয়ে অভ্যুত্থানের পথে বহু সমাবেশ হয়েছে। কিন্তু ‘৩৭ জুলাই’ পার হতেই সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘ভাগ করো’ নীতির ঢেউ তোলা হলো।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *