তৃতীয় প্রশ্ন হলো, যে আন্দোলনই হোক, শিশুদের ওপর অথবা শিশুর অভিভাবকের ওপর আক্রমণ করলে তার শাস্তি কী হবে? যেকোনো আন্দোলনেই পুলিশি হামলা নিন্দনীয়। কিন্তু যেখানে মায়ের সঙ্গে শিশুরাও রয়েছে, সেখানে ন্যূনতম সতর্কতা থাকা উচিত। মনে রাখতে হবে, জুলাই আন্দোলনে যারা শিশুদের রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের এখনো বিচার হয়নি। তার আগেই শিশুদের ওপর সহিংসতা শুরু হয়ে গেছে।
চতুর্থ প্রশ্নটি বেশ জটিল এবং চিন্তা উদ্রেককর। কেন ২০১৯–এর বিধি মোতাবেক প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ কোটা নারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল? এর পেছনে কি কোনো পূর্বাভিজ্ঞতা ছিল? সামাজিক কোনো কারণ ছিল? প্রশ্নটি আমি তুলছি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে। যেহেতু বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে, আমি মনে করি এ নিয়ে আলোচনা জরুরি।
আমরা কিছু কিছু পেশায় পুরুষের আধিক্য দেখি। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ থেকে শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, গণপরিবহন ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ যেমন কম, তেমনি সামাজিক বাধাও অনেক। আবার অন্যদিকে চিকিৎসক, নার্সিং, শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক কাজে নারীদের অংশগ্রহণের প্রবণতা বেশি। এই যে শিক্ষকতায়, বিশেষ করে প্রাইমারি শিক্ষক পদে নারীদের অংশগ্রহণ বেশি—এ বিষয় নিশ্চয়ই একদিনে তৈরি হয়নি।
আন্দোলনকারীদের মতে, অনেক পুরুষ শিক্ষক চাকরি শুরুর পর অন্য ভালো সুযোগ পেলে চলে যান। প্রাইমারি শিক্ষকদের বেতন কম, কাজ বেশি। এ কারণে তাঁরা চলে গেলে প্রায়ই অনেক স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কমে যায়। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে নারীরা সামাজিক ও পারিবারিক কারণে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকেন।