পুলিশকে ঢেলে সাজাতে যা যা করা দরকার


এসআইপিজি পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৫ সাল থেকে পুলিশের প্রতি জনগণের বিশ্বাস তীব্রভাবে হ্রাস পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক জরিপ ন্যাশনাল সার্ভে অন দ্য সিটিজেনস এক্সপেকটেশনস ফ্রম দ্য ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ ২০২৪ বলছে, পুলিশের ওপর মাত্র ১১ শতাংশ মানুষের আস্থা আছে। 

নিঃসন্দেহে এ ফলাফল জনগণের কাছে যেমন কাম্য নয়, পুলিশের কাছেও স্বস্তিকর হওয়ার কথা নয়। স্থায়ী পুলিশ কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পুলিশকে জনমুখী করার আবশ্যকতা এখানেই। ব্রিটিশ আমলে গঠিত পুলিশের মূল উদ্দেশ্যই ছিল ব্রিটিশ শাসকদের শাসনকে পাকাপোক্ত করা। সেই থেকে প্রায় একই আইনি কাঠামোতে চলছে আমাদের পুলিশ। ২০০৭ সালে একবার সংস্কারের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এ সংস্কার বিভিন্ন রাজনৈতিক অসহযোগিতার কারণে আলোর মুখ দেখেনি।

পুলিশ কমিশনে কারা থাকবেন, কারা এর সদস্য হবেন—এগুলো নির্ধারণের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করা জরুরি। উল্লেখ্য, আমাদের দেশে অন্যান্য সরকারি কমিশনের সদস্য কারা হবেন, তা নির্ধারণ করার জন্য সার্চ কমিটি গঠনের উদাহরণ রয়েছে। 

জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো পুলিশ কমিশনকে একটি স্বাধীন কমিশন হতে হবে। এই কমিশনের প্রধান কাজ হবে পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং শৃঙ্খলা তদারকি করা। এই কমিশনে একজন কমিশনপ্রধান যিনি হতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি। তাঁর নেতৃত্বে যাঁরা থাকতে পারেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের প্রতিনিধি, পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *