পুরোনো সিন্ডিকেটের বদলে নতুন সিন্ডিকেট চাই না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য


মতবিনিময় সভায় সমাজসেবী, মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কর্মী, শ্রমজীবী সংগঠন ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। সভায় নাগরিক সেবা, প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া না–পাওয়া, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীদের আত্মপরিচয়, পর্যটনের অভিঘাত, শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে উঠে আসে। এসব বিষয়ে অতিথিরা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন এবং পরামর্শ দেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘চট্টগ্রামের আলোচনায় দুটি বিষয় উঠে এসেছে। একটি হলো পুরোনো সিন্ডিকেটের বদলে আমরা নতুন সিন্ডিকেট চাই না। রাজনীতির বদল করলাম না, শুধু রাজার বদল করে ফেললাম—এটা হতে পারে না। এক অত্যাচারীর বদলে আরেক অত্যাচারীকে আমরা বিকল্প হিসেবে দেখছি না।’

আলোচনার আরেকটি দিক উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সভায় উঠে এসেছে যে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। যাঁদের আইন প্রণয়ন করার কথা, তাঁরাও যুক্ত হয়েছেন। যাঁদের আইনি সুরক্ষা দেওয়ার কথা, তাঁরাও যুক্ত হয়ে গেছেন। আবার যাঁদের আইন প্রয়োগ করার কথা, তাঁরাও যুক্ত হয়ে গেছেন। এমনকি যাঁরা উর্দি পরেন, তাঁরাও যুক্ত হয়ে গেছেন। এতে বোঝা যায়, সামগ্রিকভাবে আমরা যে সমস্যার মোকাবিলা করছি, তার আয়তন ও ব্যাপ্তি কত ব্যাপক এবং গভীর। এটাই সুযোগ—এমন মন্তব্য করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ সুযোগ যদি আমরা হারাই, আবার কোনো দিন খুঁজে পাব কি না, জানি না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *