পুতিন যেভাবে ইসরায়েলের কাছে ধরাশায়ী হচ্ছেন


কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের একটা ট্রোজান হর্স (ট্রয় নগরীর কাঠের ঘোড়া) হিসেবে দেখা দরকার। এই কৌশলের মাধ্যমে প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সহায়তা শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে মুসলিম–অধ্যুষিত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে রাশিয়ার অক্ষ থেকে বের করে আনা।

ইসরায়েলের প্রতি রাশিয়ার সংঘাত এড়ানোর জন্য চুপ থাকার কৌশল চারটি বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে। প্রথমত, রাশিয়া ও ইরানের জাতীয় ভূখণ্ডে সরাসরি কোনো সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে না, সেই ট্যাবু ভেঙে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন ও ইসরায়েল—এই দুই প্রক্সিকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেটা করে চলেছে।

দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র চায় এমন একটি নতুন মধ্যপ্রাচ্য তৈরি করতে, যেখানে চীন ও রাশিয়ার প্রাধান্য ও প্রভাব খর্ব হবে। এ ক্ষেত্রে ইসরায়েল তাদের প্রক্সি শক্তি হিসেবে কাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় রুশ সেনাদের ওপর ইসরায়েলি কিংবা ইউক্রেনীয় হামলা হতে পারে, এমন ধারণা অবাস্তব বলে মনে হয় না।

তৃতীয়ত, ইরানের সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রভান্ডারে ইসরায়েলের সরাসরি হামলা ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়াকে অস্ত্র জোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে ইরানের সক্ষমতা ব্যাপকভাবে কমে যাবে। সেটা ইরান ও রাশিয়া দুই দেশকেই আরও নাজুক অবস্থায় ফেলবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *