আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আধা সামরিক বাহিনী হিসেবে বিডিআরের একটি আইন আছে। সেই আইনে বিচারে সাজা সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হলো কেন? রিমান্ডের নামে প্রত্যেক বিডিআর সদস্যকে নির্যাতন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন সরকারের ইন্ধনে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৮ হাজার ৫১৯ বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। অনেককে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের সাজা শেষ হওয়ার পরও কারাগার থেকে তাঁরা জামিনে বের হতে পারেননি। কারণ, তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। অথচ প্রত্যেক নাগরিকের জামিন পাওয়ার অধিকার আছে। যেসব বিডিআর সদস্য কারাবন্দী আছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। একদিকে তাঁদের জীবন, আরেক দিকে তাঁদের সন্তানের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। নিরপরাধ বিডিআর সদস্যরা যেন সব মামলা থেকে অব্যাহতি পান। যেন কারাগার থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, তাঁদের যেন চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।
ফয়জুল আলম আরও বলেন, তৎকালীন সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। বিডিআর সদস্যদের দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান ও বিজিবিপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। প্রতিটি জেলায় মানববন্ধন করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি।