পাঁচ পিসিপি নেতা অপহরণ (২০২৫)
১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ির কুকিছড়া থেকে অটোরিকশায় সদরে যাওয়ার পথে গিরিফুল নামক জায়গায় অপহৃত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। তাঁরা সবাই জেএসএস সমর্থিত ছাত্রসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) নেতা। অপহৃতরা হলেন রিশন চাকমা, মৈত্রীময় চাকমা, দিব্যি চাকমা, লংঙি ম্রো ও অলড্রিন ত্রিপুরা।
পিসিপির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি চাইছি। অপহৃতরা সবাই পিসিপির নেতা-নেত্রী’। অপহরণের ঘটনায় জেএসএসের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্যা মারমা।
যেসব কারণে অপহরণ
সমতলে বেশির ভাগ অপহরণের ঘটনা থাকে মূলত মুক্তিপণ আদায়কেন্দ্রিক। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক অপহরণের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর বিবাদ। জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, অপহরণ সমতলেও হচ্ছে। পাহাড়ে বিভিন্ন বিবদমান দল রয়েছে, সেটি এ ধরনের ঘটনার একটি কারণ। এ ছাড়া এর পেছনে পাহাড়ের প্রশাসনের ভূমিকাও কিছুটা দায়ী। পার্বত্য চুক্তির আগে-পরে আন্দোলন, চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি কম থাকা কিংবা আরোপিত অনেক বিষয় এসব ঘটনার পেছনে কাজ করে। আসল রোগ না সারানোর কারণে অপহরণ কিংবা সংঘাতের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।