ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় একশনএইড, বাংলাদেশের নেতৃত্বে সুশীল প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা বিএনকেএস এ জেলা সংলাপের আয়োজন করে। এই বৈঠকের প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো।
সংলাপে রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নারী সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা একসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম হিসেবে পরিচিত। তিন জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন রয়েছে। সংরক্ষিত নারী সদস্যদের জন্য একটি আসন আছে। বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট আয়তন ২৩ হাজার ১৮৪ বর্গকিলোমিটার।
সংলাপে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওসমান গণি বলেন, জাতীয় সংসদে জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার আসন নির্ধারণ করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যা অনুপাতে তিনটি আসন ও একটি নারী আসন রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আয়তন দেশের মোট আয়তনের এক দশমাংশ। আয়তনের দিক থেকে হিসাব করলে এখানে সংসদীয় আসন আরও অনেক বেশি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দুর্গম ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হলে সংসদীয় আসন বাড়ানো দরকার। সাধারণ ও নারী উভয় আসনের ক্ষেত্রে এটি জরুরি।