পার্বত্যবাসী মনে করে সেখানে সংঘাত ঘটতে দেওয়া হচ্ছে


দেবাশীষ রায়: মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। তাঁরা ধৈর্যসহকারে আমাদের কথা শুনেছেন। নতুন সরকার আমাদের কতটুকু করল, তা তো আমরা তাদের কাজের মাধ্যমেই দেখব। তবে আমাদের প্রথম চাওয়া হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামে বেসামরিক প্রশাসন যেন স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করতে পারে, তা নিশ্চিত করা। এখানে সহিংসতা যত থাকুক, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তো কোনো যুদ্ধাবস্থা চলছে না।

এটা ঠিক, কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে কিছু সংঘাত হয়েছে। কিন্তু বড় আকারে তো সংঘাতের উদাহরণ নেই। এখানে সাধারণ যেসব সহিংসতা হয় বা হচ্ছে, তা পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ করা ‍উচিত, সামরিক বাহিনীর না। মশা মারতে কামান দাগানোর তো দরকার নেই। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ তো পুলিশের কাজ। তাদের কাজ তাদের করতে দেন, বিজিবির কাজ বিজিবিকে করতে দেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে যাঁরা সেনা কর্মকর্তা আছেন, তাঁরা সিভিল প্রশাসনের অধীনে কাজ করুক। সিভিল প্রশাসন যদি সঠিকভাবে কাজ করতে না পারে, ফায়ার সার্ভিস যদি তার কাজ না করতে পারে, ডেপুটি কমিশনার যদি তার কাজ না করতে পারে, তাহলে চলবে কীভাবে? এসপির কাজ এসপি করবেন, তাঁর কাজ ব্রিগেড কমান্ডার করে দিলে ভুল হবে তো। ঠিক তেমনই ব্রিগেড কমান্ডারের কাজ ডিসি করে দিলে তো ভুল হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের দপ্তরগুলো তাদের ওপর আইনত যে দায়িত্ব, তা তারা পালন করতে পারছে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *