সশস্ত্র ব্যক্তিরা রেললাইনে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ট্রেনটি থামান। এ সময় তাঁরা ট্রেনটির চালকের কক্ষে গুলি চালান। এতে চালক আহত হন। দুর্গম আফগান-ইরান সীমান্তের পাশে পার্বত্য অঞ্চলে থাকা একটি সুড়ঙ্গে প্রবেশের আগমুহূর্তে ট্রেনটি থামানো হয়।
এই ঘটনায় বেলুচিস্তান সরকার জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংগঠিত করা হয়েছে বলে জানান প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শহীদ রিন্দ।
ঘটনাস্থলে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ও নিরাপত্তা বাহিনীর দল পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সিবি ও কোয়েটা শহরের বেসামরিক হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব শহরের বেসামরিক হাসপাতালগুলোয় কয়েকটি ওয়ার্ড খালি করে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় কোয়েটা রেলস্টেশনে একটি জরুরি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে।
যাত্রীবাহী ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ‘সন্ত্রাসী হামলার’ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, এই পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো এটাই প্রমাণ করে যে ওই সশস্ত্র ব্যক্তিদের ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।