সারোয়ার তুষার তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেয়ালে দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিগুলোর সবই তরুণদের আঁকা। এতে মনের কথাগুলো সেখানে লিখেছেন তাঁরা। এর মাধ্যমে তরুণেরা কী চান, বোঝা যায়। যাঁরা বলেন, ‘সংবিধান বাতিল করে দিলে কীভাবে চলবে?’ তাঁরা আসলে বুঝতে পারেন না, তরুণেরা তাঁদের অভিপ্রায় লিখে দিয়েছেন। জনগণও এর সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন। গত তিনটি নির্বাচন কীভাবে হয়েছে, সবাই দেখেছেন। গুম-খুন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কোনোটিতেই এই সংবিধান জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে পারেনি। এ কারণে জনগণ এই সংবিধান বাতিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
‘কিংস পার্টি’ নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির এই নেতা বলেন, ‘আগের সব অভ্যুত্থানের পর আমরা দেখেছি, ৬৯-এ আসাদ, ৯০-এ নূর হোসেন জীবন দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় এসে আগের মতো দেশ চালিয়েছে। এ কারণেই অভ্যুত্থানের সুফল জনগণ পায়নি। এখন দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি পদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক দলের চাপে। অথচ এর দায়ভার নিতে হচ্ছে ছাত্রদের। এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। চাঁদাবাজি করছে বিশেষ রাজনৈতিক দলগুলো। অথচ আবার তারাই আমাদের বলছে কিংস পার্টি। ক্ষমতার মধ্যে থেকে যারা দল গঠন করেছিল, তারাই আমাদের কিংস পার্টি বলছে। সরকারে রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি, সেনাবাহিনী ও ছাত্রদের প্রভাব রয়েছে। এই পরস্পরবিরোধী স্বার্থের সমন্বয়ে গড়া সরকারের পক্ষে কিংস পার্টি করা যায় না। অথচ যাঁরা কিংস পার্টি হয়ে শুরু করেছিলেন, তাঁরাই দেশের মানুষের ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। আমরা এখনো দল হয়ে আসতে পারি নাই, এসব বলতে শুরু করেছেন। এগুলো গভীর ষড়যন্ত্র। আমাদেরও প্রমাণ করার সুযোগ দিন।’