রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার রসুলপুর রেলস্টেশন এলাকায় সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের আটটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে চট্টগ্রামমুখী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে এই ট্রেনের ইঞ্জিন উদ্ধার করা হলে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। এই পাহাড়িকা এক্সপ্রেস চট্টগ্রামে আসার পর সিলেট যায় উদয়ন এক্সপ্রেস হয়ে।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার আবু জাফর মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, কুমিল্লায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। সে ইঞ্জিন উদ্ধার করতে সময় লেগেছে। এ কারণে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস দেরিতে ছেড়েছে। এতে যাত্রীদের অনেক বেশি ভোগান্তি হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘রেল কর্তৃপক্ষ যদি আগেভাগে জানিয়ে দিত এ ট্রেন ৬ ঘণ্টা দেরিতে আসবে, তাহলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা বা বাসে চলে যেতাম। কিন্তু তারা বারবার সময় পরিবর্তন করে যাত্রীদের আশায় রেখেছে রাত ১২টার মধ্যে ট্রেন আসবে। কিন্তু আসেনি। আর রাত ১২টার পর বাসে করে যাওয়ার অবস্থাও ছিল না। আবার সড়কে ছিনতাইকারীদের ভয়ে অনেকে যাত্রা বাতিল করে নিজ বাসায়ও ফেরত যাননি। এই পুরো সময় স্টেশনে বসে কাটাতে হয়েছে। কী যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তা বলে বর্ণনা করা যাবে না।’
তিনজন যাত্রী জানান, ট্রেন নির্ধারিত সময়ে না ছাড়ায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পোহাতে হয়েছে শিশু ও নারী যাত্রীদের। আর বয়স্ক মানুষেরও কষ্টের শেষ ছিল না। দীর্ঘক্ষণ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে থাকার কারণে মশার কামড় খেতে হয়েছে। ছিল কুকুরের উৎপাতও।