সিরিয়ায় চলমান বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়েছে ইসরায়েলও। বাশারের পতনের দিন থেকেই দামেস্কসহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে পাঁচ শতাধিক হামলা চালিয়েছে তারা। এতে ধ্বংস হয়েছে সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, অস্ত্র উৎপাদন কারখানা, অস্ত্রাগার, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ ও ক্ষেপণাস্ত্র। দুই দেশের সীমান্তে গোলান মালভূমির বাফার জোন বা নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চলের দখল নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুধু তাই নয়, ১৯৭৩ সালে আরব–ইসরায়েল যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো এই বাফার জোন অতিক্রম করে সিরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন ইসরায়েলের সেনারা।
ইসরায়েলের ভাষ্য, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সিরিয়ায় অভিযান চালাচ্ছে তারা। আর বাফার জোনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো চুক্তির সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী এই অঞ্চলের দায়িত্ব কার্যকর কোনো বাহিনী না নেওয়া পর্যন্ত, সেখানে ইসরায়েলের সেনারা অবস্থান করবেন।