একই ফেসবুক পোস্টে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়ের এমন একটি বিষয় সামনে এনেছেন, যা এর আগে শোনা যায়নি। নাহিদ লিখেছেন, ‘২ আগস্ট (২০২৪) রাতে জুলকারনাইন সায়েররা (প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান) একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর একটি অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিলেন। এ উদ্দেশ্যে কথিত সেইফ হাউসে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেট করা হয়, যাতে সেই রাতে ফেসবুকে তাঁরা সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করেন; আমাদের সঙ্গে যাতে আর কোনো যোগাযোগ না রাখেন। রিফাতদের (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্তমান সভাপতি রিফাত রশিদ) বিভিন্ন লেখায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য ছিল এক দফার ঘোষণা মাঠ থেকে, জনগণের মধ্য থেকে দিতে হবে। আর যারা এভাবে চাপ প্রয়োগ করছে, তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক।’
নাহিদ আরও লেখেন, তাঁদের ভেতর প্রথম থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে ক্ষমতা কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী-সমর্থিত কোনো পক্ষের কাছে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটা এক-এগারো হবে, আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে এবং দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এটিকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণ-অভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সামনে এগোতে হবে। ৫ আগস্ট থেকে তাঁরা এ অবস্থান ব্যক্ত করে গিয়েছেন।
জুলকারনাইন সায়েররা ৫ আগস্টের পর বারবার তাঁদের বিরুদ্ধে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি লিখেছেন, ‘সে ক্ষেত্রে সাদিক কায়েমদের ব্যবহার করেছে এবং তারা ব্যবহৃতও হয়েছে। সায়েরদের এ চেষ্টা অব্যাহত আছে। কলরেকর্ড ফাঁস, সার্ভেইলেন্স (নজরদারি), চরিত্রহনন, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা—হেন কোনো কাজ নেই, যা হচ্ছে না। বাংলাদেশে সিটিং মন্ত্রীদের (বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের) বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার হচ্ছে, এ দেশের ইতিহাসে এ রকম কখনো হয়েছে কি না, জানা নেই। কিন্তু মিথ্যার ওপর দিয়ে বেশি দিন টেকা যায় না, এরাও টিকবে না।’