বালুরচর গ্রামের শত শত বিভিন্ন বয়সী মানুষ আগ্নেয়াস্ত্র, টেঁটাসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে সকাল আটটা পর্যন্ত সায়েদাবাদ বাজারে হামলা চালান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নারী, শিশুসহ প্রতিপক্ষের অনেক মানুষ আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেন। নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মোমেনা বেগম নামের ওই নারীর মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোমেনার মৃত্যুর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত হানিফ মিয়ার পক্ষের শত শত মানুষ আগ্নেয়াস্ত্র, টেঁটাসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বালুরচর গ্রামে গিয়ে পাল্টা হামলা চালান। এর আগেই গ্রামের লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে যান। এ সময় তাঁদের বাড়িঘরে গুলিবর্ষণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে কয়টি বাড়িঘরে গুলিবর্ষণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরই মধ্যে সেনাবাহিনী ও রায়পুরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।