মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরাই দায়িত্ব দিয়েছি, তাঁরা যেন অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। সে লক্ষ্যে তাঁরা এগিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তাঁদের সমর্থন দিয়েছি। গোটা দেশের মানুষ তাঁদের সমর্থন দিচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ নভেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই ৭ নভেম্বরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুন করে একটা পরিচিতি, স্বাতন্ত্র্য এবং সম্প্রসারণবাদ ও আধিপত্যবাদ থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল।’
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব ও ভূমিকা তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জাতি স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাত থেকে স্বকীয় মর্যাদায় একটি স্বাধীন ভূখণ্ড নির্মাণ করার জন্য। স্বাধীনতার পরে মানুষ আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছে। মানুষ যে আশা করেছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজ নির্মিত হবে, মানুষের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এই অল্প সময়রে মধ্যে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুঃশাসন মানুষের স্বপ্নগুলো চুরমার করে দেয়। তারা বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে। এ কারণেই ৭ নভেম্বর এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সেদিন একটি নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৫ বছরে তরুণেরা সঠিক ইতিহাস পাননি। তাঁরা বিকৃত ইতিহাস পেয়েছেন। বিএনপি এবার ৭ নভেম্বর ব্যাপকভাবে উদ্যাপন করবে। জাতির সামনে ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব তুলে ধরবে। এ লক্ষ্যে তারা সারা দেশে ১০ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে।