দুর্নীতি আর পরিকল্পনাহীনতায় ডুবেছে খুলনা শিল্পকারখানা


খালিদ হোসেন বলছিলেন, ‘সামরিক শাসকেরা ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠন ধ্বংসের চেষ্টা করেছিলেন। পরিকল্পনা করে অর্থ, অস্ত্র, ভয়, পদের লোভ দেখানো হতো। আমাকে সেনানিবাসে নিয়ে নির্যাতন করে লোভ দেখানো হয়েছিল।’ তিনি বলেন, অব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনাহীনতা, দূরদর্শিতার  অভাব ও পরতে পরতে দুর্নীতি পাটশিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিশ্ব এখন পাটপণ্যের দিকে ছুটছে। এ ব্যাপারে তাঁদের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। শিল্প বাঁচাতে তাঁরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সরকারই বাস্তবায়ন করেনি।

পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক কুদরত-ই-খুদা বলেন, পাট খাত ঘিরে কখনোই বড় সংস্কার পরিকল্পনা হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষ ঠিক থাকলে শ্রমিকনেতাদের দুর্নীতির সুযোগ নেই। এখনো বসে বসে টাকা নিচ্ছেন বিজেএমসির কর্মকর্তারা। শ্রমিকদের অনেকের মজুরি বকেয়া অথচ ব্যবস্থাপকের বাসায় গরু দেখতে রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত লোক কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে একে একে সব কারখানা শেষ হয়েছে। এ জন্য শ্রমিকদের একটা অংশ দায়ী। কারখানার ব্যবস্থাপক ও অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলেমিশে শ্রমিকনেতারা দুর্নীতি করেছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *