দামেস্কের কাছে দেখি পরিত্যক্ত ট্যাংক, রাস্তায় ফেলে রাখা সামরিক পোশাক


ওই ব্যক্তি (হুসেইন) যদিও তাঁর পরিবারকে সঙ্গে আনতে পেরেছেন। তবে তাঁদের কারও কাছে সীমান্ত পেরিয়ে লেবাননে প্রবেশের জন্য বৈধ কাগজপত্র ছিল না।
যা–ই হোক, ঘণ্টাখানেক পর আমরা সিরিয়ায় প্রবেশ করি। দামেস্ক অভিমুখী রাস্তাটি বেশ প্রশস্ত।

দামেস্কের কাছাকাছি এসে দেখি, সামরিক জিপ আর ট্যাংক রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত পড়ে আছে। আরও পড়ে আছে সেনাদের ফেলে যাওয়া সামরিক পোশাক।
দামেস্কে ঢুকতেই রাস্তায় বেশ ভিড় দেখলাম, তবে দোকানপাট বন্ধ ছিল। লোকজন শহরের কেন্দ্রস্থল ইমায়াদ স্কয়ারে জড়ো হয়েছেন। বাবা-ছেলের পাঁচ দশকের বেশি সময়ের শাসনামলের পতনে উদ্‌যাপনে মেতেছেন অনেকেই। কেউ কেউ শূন্যে গুলি ছুড়ছেন। উল্লসিত মানুষের ভিড়ে আহত একটা ছোট ছেলেকেও দেখলাম।
বেসামরিক লোকজন গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ শান্তির চিহ্ন দেখাচ্ছেন। বলছিলেন, বাশার আল-আসাদ চলে গেছেন, এখন সবকিছু ভালো হবে, ভালোভাবে চলবে।

সেখানে ভিড়ের মধ্যে একজন বয়স্ক নারী কাঁদছিলেন। তাঁর পরিবারের অনেক সদস্য সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্টের আমলে নিহত হয়েছেন। অনেকে কারাগারে আছেন। নিজেই জানালেন তিনি। উঁচু কণ্ঠে প্রার্থনার মতো করেই বললেন, ‘ধন্যবাদ, ধন্যবাদ। জালিমের পতন হয়েছে, জালিমের পতন হয়েছে!’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *