দলগুলোর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকে কী পাওয়া গেল


দুদিন ধরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যে সংলাপ হলো, তার ফলাফল কী। বৈঠকে যেসব রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন, তাঁদের সূত্রে জানা গেছে, যে যাঁর আগের অবস্থানেই অনড় আছেন। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। বিএনপির মিত্রদলগুলোও অবিলম্বে নির্বাচনের পথনকশা তৈরির জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে। কোনো কোনো দল সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের দূরত্বও কমিয়ে আনার কথা বলেছে।

মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সবার সমর্থন থাকলেও সরকার যেভাবে কাজ করছে, সেটা অনেকেই পছন্দ করছেন না। দ্বিতীয় বৈঠকের দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে। অবশ্য এনসিপি ও কয়েকটি ইসলামি দল সরকারের সব কাজে নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছে।

আবার কোনো কোনো দল সরকারের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। একটি ছোট দলের শীর্ষ নেতা ব্যক্তিগত আলাপে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মাঠ পুরোপুরি বিএনপির দখলে চলে যেতে পারে। পুলিশ ও প্রশাসনও তখন তাদের পক্ষে কাজ করবে। সে ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার ভাষায় ‘সেরা নির্বাচন’ দূরে থাক, মোটামুটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন হবে। সরকারের সর্বশেষ অধ্যাদেশ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আরও ক্ষুব্ধ করেছে। এনবিআর নিয়েও সরকার নিজের অবস্থানে অনড় থাকতে পারেনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *