পেতংতার্ন হলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে। হুন সেনের সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হওয়ার পর সীমান্ত সংকট মোকাবিলায় নিজের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন পেতংতার্ন।
সেই অডিওতে শোনা যায়, হুন সেনকে ‘আংকেল’ বলে ডাকছেন পেতংতার্ন। আর হুন সেন কোনো কিছু চাইলে তা বিবেচনায় রাখবেন বলে আশ্বাস দিচ্ছেন তিনি।
পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা এক জ্যেষ্ঠ থাই সেনা কমান্ডারের বিরুদ্ধেও নেতিবাচক কথা বলেন। থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী প্রায়ই দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে থাকে।
হুন সেনের সঙ্গে ফোনালাপের অডিও ফাঁস হওয়ার কারণেও পেতংতার্ন বিপদে আছেন। হুন সেন তাঁর পরিবারের পুরোনো বন্ধু। অনেকেই বলছেন, পেতংতার্ন নিজেদের সম্পর্ককে দেশের স্বার্থের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
আইএসইএএস—ইউসুফ ইসহাক ইনস্টিটিউটের সহযোগী গবেষক তিতা সাংলি বলেন, পেতংতার্নের দল এখন খুব নাজুক অবস্থায় আছে। সেনাদের কথামতো চলা ছাড়া তাদের বেশি কিছু করার থাকবে না। সরকার মনে করতে পারে, কঠোর অবস্থান নিলে তারা আবার জনসমর্থন পেতে পারে।
কেউ কেউ বলছেন, এ সীমান্ত বিরোধ দুই দেশের জন্য অর্থনৈতিক সংকট থেকে মনোযোগ সরানোর একটি উপায় হতে পারে। কারণ, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড দুই দেশই আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৩৬ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এটি তাদের রপ্তানি খাতের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।