চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন বর্তমানে পৌরসভার প্রশাসকের পদে রয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পৌরসভার আবর্জনা ফেলার জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু সেভাবে জায়গা না পাওয়ায় আপাতত মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে।
চান্দিনা উপজেলা পরিষদের রাস্তার প্রবেশমুখে ধানসিঁড়ি এলাকাতেও মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপ দেখা গেছে। সেখানে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ময়লা ফেলছে চান্দিনা পৌরসভা। জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশে সারি সারি ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। দেশের অন্যতম বৃহৎ এই সবজি বাজারের বেশির ভাগ আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের পাশে। কুমিল্লা সেনানিবাস-সংলগ্ন নাজিরা বাজার এলাকায়ও মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। দাউদকান্দি উপজেলার তালতুলী, গৌরীপুরসহ কয়েকটি এলাকায় মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপ দেখা গেছে।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব প্রথম আলোকে বলেন, ‘এভাবে পরিবেশদূষণ বন্ধে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করছি। তবে এ বিষয়ে মূল দায়িত্বটা পালন করতে হবে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে। কারণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বটা তাঁদের। সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে সওজকে; কারণ মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তাঁদের দায়িত্ব।’
এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলতে আমরা বিভিন্ন বাজার কমিটি ও সংশ্লিষ্ট পৌরসভাগুলোকে চিঠি দিয়েছি, বিভিন্নভাবে সতর্ক করেছি। এরপরও তাঁরা ময়লা ফেলা বন্ধ করছেন না। আমরা মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলা বন্ধের জন্য কাজ করছি। ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আমরা কঠোর হব। তবে যাঁরা ময়লা ফেলছেন, তাঁদেরই পরিবেশদূষণের বিষয়ে আগে সচেতন হওয়া জরুরি।’