এসব উদাহরণ থেকে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র যতই শক্তি দেখাক, অনেক সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কিছু লাভ হলেও দীর্ঘ মেয়াদে তা সব সময় কার্যকর হয় না। আর কিছু দেশ মার্কিনদের ক্ষতিও করে বসে। যেমন সোমালিয়ার মোহাম্মদ ফারাহ আইদিদ কিছু মার্কিন সেনাকে হত্যা করে দেখিয়েছেন যে শক্তিশালী মার্কিন সেনাও বেকায়দায় পড়লে পিছিয়ে যায়।
ইরান এই তিনটি কৌশলই ব্যবহার করছে। তারা অর্থনৈতিক ও সামরিক আঘাত সামলাতে পারে। কখনো তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে, কখনো নিজের মতো। ইরান বিশেষজ্ঞ ভালি নাসরের মতে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি একবার বলেছিলেন, ‘আমেরিকা একটা কুকুরের মতো, তুমি যদি পিছিয়ে যাও, ও আক্রমণ করবে; আর তুমি যদি সামনে এগিয়ে যাও, তাহলে ও পিছিয়ে যাবে।’
ভ্যান্স যদি বিশ্বাস করেন, শুধু শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমেই কঠিন রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন সম্ভব (যেমন ইরানকে চিরতরে পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল), তাহলে তা বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। কারণ, যদি শুধু ভয় দেখিয়ে এমন লক্ষ্যে পৌঁছানো যেত, তাহলে সেটা সব প্রেসিডেন্টেরই নীতির অংশ হতো।
-
মেলানি ডব্লিউ সিসন ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের ফরেন পলিসি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো
-
স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ