ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সংঘর্ষে আহত শতাধিক


সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে খুলনার খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

কুয়েট ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, গত ১১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে কুয়েটে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া চলছিল। সোমবার তাঁরা ক্যাম্পাস এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে। মঙ্গলবার সকালে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। পরে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করলে ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। তাঁরা ‘ছাত্ররাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ করেন। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা তাঁদের ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। একপর্যায়ে তা কুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। কুয়েট এলাকার রেলগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের এলাকার বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে যোগ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এতে শতাধিক আহত হন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *