গ্রাম ছাড়তে চাননি, সে ‘অপরাধেই’ বৃদ্ধা নাজওয়াকে গুলি করে মারেন ইসরায়েলি সেনারা


আমরা আগামীকাল ফিরব’

ইয়ারুনের একজন স্থানীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ চাহিন (৫১)। নাজওয়ার বিধ্বস্ত বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। বলছিলেন, যুদ্ধের সময় তিনি নাজওয়ার সামনে বেড়ে উঠেছেন। তাঁর জন্য খাবার ও গৃহস্থালির নানা সামগ্রী এনে দিতেন তিনি।

২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর (ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার পরদিন) লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় ইয়ারুন থেকে রাজধানী বৈরুতের উদ্দেশে পালিয়ে যান নাজওয়ার অনেক আত্মীয়স্বজন। যুদ্ধ থামলেও গ্রামে ফিরতে ভয় পেতেন তাঁরা।

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বরের পর ইয়ারুনে লড়াই ও ইসরায়েলের বিমান হামলা জোরালো হয়। ওই সময় দেশের অন্যান্য অংশেও হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। এতে চাহিন নাজওয়াকে দেখতে ইয়ারুনে আসতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমি সব সময় ভাবতাম, তিনি বেঁচে আছেন। কেননা, এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে বাঁচতে হয়, তা তিনি জানতেন।’

দুই মাস পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে সেদিনই চাহিন নাজওয়াকে দেখতে ইয়ারুন গ্রামে ছুটে আসেন। ‘সৌভাগ্যবশত আমরা তাঁকে বেঁচে থাকতে দেখি। ভেবেছিলাম, যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। তাই তাঁকে বলি, তোমার কাছে আমরা আগামীকাল ফিরব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *