সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কিছু গুমের ঘটনায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেরও নাম এসেছে। ভারতের যারা জড়িত, তাদের বিষয়ে করণীয় কী—এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনপ্রধান বলেন, ‘ওই দেশের যারা জড়িত, তাদের আমরা কিছু করতে পারব না। এটা আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। তবে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা গোয়েন্দা সংস্থার যারা এই ঘটনাগুলোতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে এখানে ব্যবস্থা নিতে পারে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি মইনুল বলেন, গুমের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত যাদের শনাক্ত করা গেছে, সবার নাম কমিশন এখনই প্রকাশ করছে না। এর অন্যতম কারণ ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা। ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারগুলো এখনো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। অনেকে এখনো হুমকি পাচ্ছেন। কমিশনের কাছে হুমকি দেওয়ার অডিও রেকর্ডও আছে। ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এই কমিশন গঠনের পর থেকে যে প্রতিবেদনগুলো দেওয়া হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সন্দিগ্ধ অনেকের বিদেশযাত্রা স্থগিত রয়েছে। এর মধ্যে যে মামলাগুলো ট্রাইব্যুনালে গেছে, সেগুলোতে অনেকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তির নিরাপত্তা এবং সন্দিগ্ধ আসামি যেন পালিয়ে না যায়; সেটা বিবেচনায় রেখে অনুসন্ধান চলাকালে পুরো বিষয়টি প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনপ্রধান বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আগে তিনি কমিশনে এসে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছিল এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল।’ এ সময় কমিশনের সদস্য নাবিলা ইদ্রিস বলেন, ‘তারপরও তিনি (আকবর) নাই হয়ে গেলেন।’