গত জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থতার জন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চলাকালে বেশ কিছু বাধাবিপত্তি দেখা গেছে। তবে তা পুরোপুরি লড়াইয়ে রূপ নিতে পারেনি।
গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। বিভিন্ন সময়ে তারা হামাসকে হুমকি দিয়েছে, জিম্মিদের ফেরত দিতে রাজি না হলে আবারও তারা লড়াই শুরু করবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আজ মঙ্গলবার ভোরে হওয়া ওই হামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে বলেছে, গাজার অসংখ্য জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে থাকছে।
চিকিৎসাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, গাজা সিটির একটি ভবন এবং মধ্যাঞ্চলীয় গাজার দেইর আল বালাহ এলাকার কমপক্ষে তিনটি বাড়িতে হামলা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এবং রাফার বিভিন্ন জায়গাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ১৫ মাসের যুদ্ধে গাজা উপত্যকা অনেকটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালায়। ইসরায়েলের হিসাব অনুসারে এ হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন এবং ২৫১ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, এ হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হামলায় উপত্যকার বেশির ভাগ বাড়িঘর ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।