তৃতীয়ত, আগস্ট অভ্যুত্থানের পর পুলিশে অনেক রদবদল হয়েছে। এখনো হচ্ছে। ছন্দে ফিরতে অনেক সময় লাগবে। সেনাপ্রধান এটা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, তাঁরা পুলিশের বিকল্প নন। ৩০ হাজার সেনাসদস্য মাঠে নামিয়ে দুই লাখ পুলিশ সদস্যের কাজ করানো সম্ভব নয়। প্রশ্ন হলো, পুলিশ তার ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পুরোপুরি পালনের সক্ষমতা অর্জন করতে কত সময় নেবে। এ মুহূর্তে এটা বলা মুশকিল।
সম্প্রতি ধর্ষণবিরোধী একটি মিছিল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। মিছিলকারীরা ভালোই জানেন, ওখানে মিছিল করে যাওয়া যাবে না। পুলিশের চাকরি হলো তাঁদের একটা নির্দিষ্ট পয়েন্টে আটকে দেওয়া। তো সেখানে হাতাহাতি-মারামারি হলো। প্রথমে ছবি দেখে মনে হলো, এ তো স্বৈরাচারের পুলিশ! পরে পুরো ভিডিও দেখে মনে হলো, সব দায় পুলিশের কাঁধে চাপানো কি ঠিক হবে?
এক পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখা গেল, এক নারীর চুলের মুঠি ধরে টানছেন। ভয়াবহ ব্যাপার! দেখলাম, তিনিই প্রথমে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমার সেই দৃশ্যটার কথা মনে আছে, যেখানে সংসদ ভবন চত্বরে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুককে এক পুলিশ কর্মকর্তা পিটিয়েছিলেন। তার আগে ফারুক সাহেব
তাঁকে গালাগাল করেছিলেন। সংসদ সদস্যের হাতে সরকারি কর্মচারী, পুলিশ, এমনকি দলীয় কর্মীদের মার খাওয়ার সংবাদ ও ভিডিও আমরা প্রায়ই দেখি। এসব দেখেই লোকে ধরে নেয়, রাজনীতিতে ভদ্রলোকের জায়গা নেই। সেখানে ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ হতে হয়। সোজা কথায়—মাস্তানি।