খ্রিষ্টানদের সঙ্গে মহানবীর (সা.) শান্তিচুক্তি


চুক্তির শর্তাবলি

মহানবীর (সা.) সঙ্গে তাদের শান্তি চুক্তির শর্তাবলি ছিল এমন:

১. আল্লাহর রাসুল হিসেবে নাজরানবাসীর ওপর নবীজির (সা.) কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।

২. প্রতি বছর তারা ২,০০০ হুল্লা প্রদান করবে—১,০০০ রজব মাসে এবং ১,০০০ সফর মাসে। প্রতিটি হুল্লা একটি আউন্সের সমান, যা ৪ দিরহাম সমান।

৩. নবীজির (সা.) বার্তাবাহকদের তারা ২০ দিনের জন্য থাকার ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় খরচের ব্যবস্থা করবে। তবে কোনো বার্তাবাহক নাজরানে এক মাসের বেশি থাকবে না। তাদের ৩০টি ঢাল, ৩০টি ঘোড়া এবং ৩০টি উট ঋণ হিসেবে দিতে হবে, যাতে ইয়েমেনে কোনো বিশৃঙ্খলা বা বিশ্বাসঘাতকতা ঘটলে তা কাজে লাগানো যায়। যদি এই ঢাল, ঘোড়া বা উট কিছু হারিয়ে যায়, তবে তা নবীজির (সা.) বার্তাবাহকের দায়ে থাকবে, যতক্ষণ না তা ফেরত দেওয়া হয়।

৪. আল্লাহ ও মুহাম্মদ (সা.)-এর পক্ষে নাজরানবাসীদের জীবন, ধর্ম, জমি, সম্পত্তি, উপস্থিত ও অনুপস্থিত সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হলো। তাদের কোনো পুরোনো রীতি পরিবর্তন করতে হবে না। তাদের ধর্মীয় অধিকার বা বিশ্বাসে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না।

৫. তাদের পুরোহিত, যাজক বা চার্চ রক্ষককে তার পদ থেকে সরানো হবে না।

৬. যতটুকু কিছু তাদের আছে, তা তাদেরই থাকবে, বড় হোক বা ছোট। তাদের সন্দেহের চোখে দেখা হবে না এবং তারা কোনো প্রতিশোধমূলক হত্যার শিকার হবে না। তাদেরকে বাহিনী গঠন করতে বাধ্য করা হবে না এবং কোনো সেনাবাহিনী তাদের ভূমিতে প্রবেশ করতে পারবে না।

 ৭. যদি তাদের কেউ তার কোনো অধিকার দাবি করে, তবে তার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। যে ব্যক্তি পূর্ববর্তী ঋণের ওপর সুদ নেয়, সে এই সুরক্ষার আওতায় থাকবে না। নাজরানে কোনো ব্যক্তি অন্যের করা অন্যায়ের জন্য দায়ী হবে না।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩,১২০)

  সূত্র: অ্যাবাউট ইসলাম ডট কম



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *