খাগড়াছড়ির কিশোরী ও হবিগঞ্জের এক সঞ্জু বারাইকের কথা


ধর্ষণের দায়ে যে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পলাতক দুই আসামিও বিএনপির। যে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ১৬ বছর ধরে জেল–জুলুমের শিকার হলেন, তাঁদেরই কেউ চাঁদাবাজি, দখলবাজিতে লিপ্ত হয়েছেন। তাই বলে ১৫ বছরের কিশোরীর ওপর এভাবে পাশবিক নির্যাতন চালানো। মেয়েটি এখন হাসপাতালে জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আবার এর প্রতিবাদ করতে গিয়েও সেখানে কেউ কেউ নিগৃহের শিকার হয়েছেন। এটাই কি রাজনীতির নতুন বন্দোবস্ত?

অন্য ক্ষেত্রে যেমন হয়, এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আসামি ছয়জন আমাদের নেতা-কর্মী ছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কারণে তাঁদের সবাইকে মৌখিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ 

৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁরা বিএনপির রাজনীতি করতেন, এখন বহিষ্কার করেছি—এই দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। তাঁদের অপকর্মের দায় বিএনপিকেই নিতে হবে।

সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি

[email protected]

* মতামত লেখকের নিজস্ব

[সংশোধনী: এ লেখার ছবিটি প্রথম আলোর নয়। ছাপা পত্রিকায় অনিচ্ছাকৃত ভুলে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। অনলাইন সংস্করণে এটি সংশোধন করা হলো।]



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *