দীঘিনালা-বাবুছড়া সড়কে শান্তিপুর এলাকার মিতালী চাকমাও বলেন, ‘সড়কের পাশে একসময় অনেক গাছ ছিল। শৈশবে স্কুল-কলেজে যাওয়ার সময় দল বেঁধে গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতাম। এই কয়েক বছর হলো, দেখছি গাছের ছাল-বাকল তুলে নেওয়া হচ্ছে। এতে এক বছরের মধ্যে অনেক গাছ মরে যায়, কিছু গাছ আধমরা অবস্থায় থাকে।’
বেলা নেটওয়ার্কের সদস্য ও পরিবেশকর্মী আবু দাউদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কোনোভাবে এ কাজ করতে পারেন না। যেখানে লোকজন গাছ লাগাচ্ছেন, সেখানে সরকারি বিভাগের লোকজন গাছ মেরে ফেলছেন—এটি খুবই দুঃখজনক। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ ও সম্প্রসারণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লাগোয়া গাছের ডাল প্রতিবছর কাটা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনই সাধারণত শ্রমিক দিয়ে এসব গাছের ডাল কেটে থাকেন। তবে এ বছর এখনো কোনো লাইনে গাছের ডাল কাটা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপরও আমাদের কোনো কর্মচারী কিংবা কর্মকর্তা যদি গাছের ডাল কাটার সময় ছাল তুলে ফেলছেন, এমন অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে শ্রমিকেরা গাছের ডাল কাটে তাঁদের বাদ দেব। ভবিষ্যতে গাছের ডাল কাটার আগে সড়ক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।’