এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আজ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জেলার বাসিন্দারা। আজ সকাল ১০টার দিকে ‘জুম্ম ছাত্র–জনতা’ ব্যানারে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়। মিছিলটি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে জেলার চেঙ্গী স্কয়ার, মহাজনপাড়া, আদালত সড়ক, নারকেল বাগান ঘুরে শাপলা চত্বর এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ হয়। সমাবেশে আজকের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে আগামীকাল আধা বেলা অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা উক্যেনু মারমা সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। নেপোলিয়ন চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সুমন চাকমা, বাগীশ চাকমা, কৃপায়ন ত্রিপুরা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের প্রতিনিধি আকাশ ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের প্রতিনিধি ওয়াপাই মারমা, সাধারণ শিক্ষার্থী অংক্যমং মারমা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাহাড়ে কোনো নারী নিরাপদ নন। বিচার না হওয়ায় ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়েই চলেছে। চলতি বছরের ২৭ জুন ও গত সপ্তাহেও দুই শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। সভাপতি উক্যেনু মারমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে আগামীকাল আধা বেলা সড়ক অবরোধ করা হবে। জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন করা হবে।’