গাজা থেকে জিম্মিদের ফেরত আনার বিষয়ে ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে গভীর বিভক্তি দেখা দিয়েছিল, নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড সেই বিভক্তিকে অনেকটাই দূর করেছে বলে মনে হচ্ছে।
ইসরায়েলের বিরোধী দলের নেতা ইয়ার লাপিদ লিখেছেন, ‘আমাদের সব শত্রুকে জানিয়ে দাও, যে কেউ ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ করবে, মৃত্যুই তার পরিণতি হবে।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাতজেরিম বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে বিমানবাহিনীর কমান্ডার ও পাইলটদের মধ্যে রেডিও যোগাযোগের দৃশ্যও ছিল। ভিডিও ক্লিপে বিমানবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল টোমার বারকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি এখানে একটি বিজয়ের প্রদর্শনী উপহার দিয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। এটি ভালো হয়েছে। এটি আমাদের জন্য বিশাল গর্ব।’ তাঁর কথায় এক পাইলট উত্তর দেন, ‘আমরা সবখানে পৌঁছাব, সব শত্রুকে পাকড়াও করব।’
এখানেই ইসরায়েল সন্তুষ্ট হয়নি; ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে হারেৎজ রিপোর্ট করেছে।
সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহের আঘাতের পর হিজবুল্লাহর হতবুদ্ধি হওয়া অবস্থার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা আবার আঘাত হানবে, যাতে ইরান হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত পুনরায় পূরণ করার সুযোগ না পায়।