ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম মেহেদী হাসান। তিনি জামিরদিয়া বাদশা টেক্সটাইল মিলের ২ নম্বর গেট–সংলগ্ন এলাকায় মেসার্স খান হার্ডওয়্যার অ্যান্ড ইলেকট্রনিকসের দোকান পরিচালনা করেন। ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বলেন, ‘কিশোরদের আমি আগে কখনো দেখিনি। হঠাৎ দুজন এসে কিছু না বলেই কোমর থেকে পিস্তল বের করে হুমকি দিতে থাকে। পিস্তলটি দেখে আসল পিস্তলের মতো মনে হয়। তখন আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। টাকা দাবি করে আমার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা চলার সময় অন্য ব্যবসায়ীরা জড়ো হলে কিশোরদের আটকে ফেলা হয়।’
পুলিশ জানায়, আজ সকাল ১০টার দিকে মেহেদী হাসানের দোকানে দুই কিশোর এসে দাঁড়ায়। দুই কিশোরের একজনের বয়স ১৬ এবং একজনের বয়স ১৭ বছর। তারা দুজনই গফরগাঁও উপজেলার বাসিন্দা। দুই কিশোর দোকানটিতে গিয়ে মেহেদী হাসানের সামনে কোমর থেকে পিস্তলটি বের করে টেবিলে রাখে। ওই সময় একজন দোকানের একটি গ্লাসে লাথি দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। কিশোরেরা দোকানি মেহেদী হাসানকে বলতে থাকে, ‘ক্যাশবাক্সে যা আছে বের কর, নইলে গুলি করে মাইরা ফালব।’ ওই অবস্থায় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দুই কিশোরকে আটকে ফেলে। খবর দেওয়া হয় সেনাবাহিনী ও পুলিশকে। পরে পুলিশ এসে দুই কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।