মাহমুদ হাসান তাঁর ‘দিনপঞ্জি একাত্তর’ বইয়ে যুদ্ধকালীন দিনগুলোর ধারাবাহিক বর্ণনা দেন। সেখানে ঈদের দিনের সংবাদ সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে:
‘পাকিস্তান বেতার থেকে বলা হয়, যশোর ও সিলেট সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী আজ সর্বাত্মক হামলা চালায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হামলা প্রতিহত করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এদিকে ভারতীয় পার্লামেন্টে মিসেস ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ভারত আশা করে জাতিসংঘ মহাসচিব পূর্ববঙ্গে গৃহযুদ্ধের অবসানে আত্মনিয়োগ করবেন। তিনি বলেন, পূর্ববঙ্গের সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভাগ্য ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সমস্যাকে ধামাচাপা দিয়ে এটিকে একটি পাক-ভারত বিরোধে রূপান্তরিত করলে তা শুধু সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলবে। আমি জাতিসংঘ মহাসচিবকে এই নিশ্চয়তা দিতে চাই, পাকিস্তান আক্রমণ করার অথবা পাকিস্তানের সাথে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছেই আমাদের নেই।’
তথ্যসূত্র:
১. হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ
দলিলপত্র: ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও একাদশ খণ্ড, তথ্য মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, জুন ১৯৮৪
২. বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস (সেক্টর-৬), মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
৩. আব্দুল মান্নান সম্পাদিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের মুখপত্র ‘জয় বাংলা’
৪. একাত্তরের ঈদের এই দিনে, লে. কর্নেল নুরুন্নবী খান, বীর বিক্রম
৫. ‘একাত্তরের দিনপঞ্জি: মুক্তিযুদ্ধের দৈনিক ঘটনালিপি’, সম্পাদনা সাজ্জাদ শরিফ
৬. ডেইলি স্টার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২
৭. বাংলাদেশ: ১৯৭১, দ্বিতীয় খণ্ড, আফসান চৌধুরী, ফেব্রুয়ারি ২০০৭
৮. ‘দিনপঞ্জি একাত্তর’, মাহমুদ হাসান, ফেব্রুয়ারি ২০১৩
৯. বাঙালির জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম, ডা. মাহফুজুর রহমান, ১৯৯৩