রূপাইয়াদের বাড়ি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায়। তিনি বলছিলেন, স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি নামের সংগঠনটির সঙ্গে পাহাড়ে অভিবাসিত বাঙালিদের সংগঠনের যোগসূত্র আছে। এখানকার নেতৃত্বের অনেকেই পাহাড়ের অভিবাসিত (সেটেলার) বাঙালি পরিবারের। দীর্ঘদিন থেকেই এই সংগঠনের টার্গেটে ছিলেন তিনি, অভিযোগ রূপাইয়ার।
রূপাইয়া বলছিলেন, ‘পাহাড়ে কিছু হলেই সেখানকার পাহাড়িদের অর্থাৎ আমাদের ওপর দোষ চাপানো হয়। আর মারধর, হত্যা, নিপীড়ন এসব রয়েছেই। হামলাকারীরা ভেবেছিল এটাও পাহাড়। তাই এতটা নৃশংস আচরণ ছিল তাদের। ওখানে পাহাড়িদের ওপর হামলার কোনো বিচার হয় না। হয়তো আমাদের ওপর এই হামলারও কোনো বিচার হবে না।’
সেদিনের হামলায় রূপাইয়ার সঙ্গে আহত হন দনওয়াই ম্রো, মলয় বিকাশ ত্রিপুরা, স্নেহলাল তঞ্চঙ্গ্যা, শান্তিময় চাকমা, শান্তা চাকমা, মিশাল কান্তি ত্রিপুরা, ফুটন্ত চাকমা, সুর্মী চাকমা, অন্তত ধামাই, রেং ইয়ং ম্রো। তাঁরা সবাই পার্বত্য বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া আছেন ডন যেত্রা, টনি চিরান, জুয়েল মারাক। তাঁরা সমতলের বিভিন্ন জাতিসত্তার মানুষ। আহত তিন বাঙালি শিক্ষার্থী ছিলেন রাহি নায়েব, ইসাবা সোহরাত ও ববি বিশ্বাস।