এদিকে হামলার ঘটনার পর হামলায় অভিযুক্ত পক্ষের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন সেখানেও দুই দফায় উভয় পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চিকিৎসাধীন রোগীদের অনেকেই আতঙ্কে ঘুম থেকে উঠে পড়েন। রোগীর কয়েকজন স্বজনকে কান্না করতে দেখা যায়। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে তাঁদেরও বের করে দেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হামিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ১০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবারই শক্ত কিছু লাঠি নিয়ে আঘাত করার চিহ্ন দেখা গেছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীম প্রথম আলোকে বলেন, কলেজ মাঠে একটা ঘটনা ঘটেছে। এরপর হাসপাতালেও একটু ঝামেলা হয়। সবখানেই পুলিশ রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।
হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘যারা বর্তমান কমিটিকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে, তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব ও নাগরিক কমিটির নেতাসহ তাদের অন্তত ৮ –৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।’