কিসওয়া পরিবহনের পালকি | প্রথম আলো


১২৫০ সালে আইয়ুবীয় রাজত্বের অবসানের পর মিসরে মামলুক সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১২৫০-১৫১৭ সাল পর্যন্ত মিসর, সিরিয়া এবং হেজাজ অঞ্চলে প্রশাসন চালায়। ইতিহাসবিদদের মতে, মামলুক সুলতান আল-জহির বাইবার (১২৬০-১২৭৭) ১২৬৬ সালে মিসরীয় হজ কাফেলার সঙ্গে প্রথম মাহমাল প্রেরণ করেন। তবে কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন, আইয়ুবীয় সুলতান আস-সালিহ আইয়ুবের স্ত্রী শাজারাত আল-দার প্রথম তাঁর নামাঙ্কিত মাহমাল হজের সময় মক্কায় নিয়ে যান। পরবর্তী বছর তিনি হজে না গেলেও তাঁর স্মৃতিস্বরূপ মাহমাল প্রেরণ করেন।

মাহমাল প্রেরণ পরবর্তীকালে একটি বার্ষিক উৎসবে পরিণত হয়। মিসরের কায়রোতে প্রশাসকের প্রাসাদ–সংলগ্ন স্কয়ারে মাহমাল প্রেরণ উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসবের আয়োজন করা হতো। এতে অংশ নিতেন গভর্নর, সালতানাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সশস্ত্র সেনাদল এবং সাধারণ মানুষ। উৎসব শুরু হতো সেনাদলের কামানের তোপধ্বনির মাধ্যমে।

তিন দিন ধরে কায়রোর প্রধান সড়কগুলোতে উটের পিঠে মাহমালের মিছিল বের হতো। এ উপলক্ষে শহরের ঘরবাড়ি ও সড়কগুলো সাজানো হতো। মিছিল শেষে মাহমাল কায়রোর প্রধান মসজিদে রাখা হতো এবং পরে সেনাদলের পাহারায় হজ কাফেলার সঙ্গে মক্কায় পাঠানো হতো। ফিরতি যাত্রায় পুরোনো কিসওয়া মাহমালে করে ফেরত আনা হতো। এই কিসওয়া ছোট ছোট টুকরায় বিভক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার দেওয়া হতো, যা ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা পবিত্র স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করতেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *