মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় হাতবোমার আঘাতে একজন ইউপি সদস্য ও তাঁর ছেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের মধ্যেরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন মধ্যেরচর এলাকার মতিউর রহমান শিকদারের ছেলে আক্তার শিকদার (৪২) এবং আক্তার শিকদারের ছেলে মারুফ শিকদার (২০)। আক্তার শিকদার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মধ্যেরচর এলাকায় ফকির ও শিকদার বংশের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এলাকা ছাড়েন আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার শিকদার। আজ ভোররাতে শরীয়তপুরের নতুনবাজার এলাকা দিয়ে আক্তার শিকদার তাঁর লোকজন নিয়ে মধ্যেরচর এলাকায় প্রবেশ করছেন, এমন খবর পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করেন জলিল ফকিরের লোকজন। পরে আক্তার ও জলিলের লোকজন দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। হাতবোমার আঘাতে ইউপি সদস্য আক্তার শিকদার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বোমায় গুরুতর আহত হন তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার (২০)। মারুফকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। এ ছাড়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা বরিশালের মুলাদি ও শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাঁশগাড়ী এলাকায় র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।