শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শোনার পর ইউএনও নাঈমা ইসলাম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলামকে পাঠাগার ভেঙে দোকান নির্মাণ, ভাঙচুর, লুটপাট, অফিস সহকারীকে পেটানোর অভিযোগে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। সেনাবাহিনীর ইনচার্জ মেজর মো. মাহমুদ, দাউদকান্দি থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী একই কথা বলেন। পরে সঠিক বিচারের আশ্বাসের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে যুবদল নেতা রুহুল আমিন তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন। তিনি আরও দাবি করেন, ২০০১ সালে কলেজের তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ওবায়দুল হক ভূঁইয়ার কাছ থেকে প্রধান ফটকের পাশের জায়গা ভাড়া নিয়ে নিজ খরচে চারটি দোকান নির্মাণ করছেন। করোনাকালে তাঁর নির্মাণ খরচের টাকা ফেরত না দিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় চাঁদাবাজি মামলা করেন এবং দোকানের জায়গায় কলেজের পাঠাগার নির্মাণ করেন। গত ৫ আগস্টের পর তিনি তাঁর নির্মিত দোকানগুলো পুনরায় দখলে নেন।
ইউএনও নাঈমা ইসলাম বলেন, কলেজের পাঠাগার ভেঙে চারটি দোকান নির্মাণ করার অভিযোগে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলামকে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।