সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, চা-বাগানের শ্রমিকেরা তাঁদের কাজ ও জীবিকা নিয়ে শঙ্কিত। তাই লিজ বাতিল হলে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই নিশ্চয়তা চান তাঁরা।
বারবার উদ্যোগের পরও কেন বাংলোটিকে জাদুঘর করা যায়নি—এমন প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সেনা সদর দপ্তর গৌরবান্বিত হোক, তা চাননি রাজনীতিবিদেরা। তাঁরা হয়তো ভেবেছেন, এতে রাজনীতিবিদদের অবদান ছোট হয়ে যাবে।
জাদুঘর হওয়ার পর তা কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কেউ কেউ বলছেন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ সমন্বয়ে একটি ট্রাস্টি করা যেতে পারে। ট্রাস্টির মাধ্যমে জাদুঘর পরিচালিত হতে পারে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মিশে আছে এই বাংলোয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বেশ কিছু রক্তক্ষয়ী সম্মুখযুদ্ধের সাক্ষী বাংলোটি। কিন্তু ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি আজও তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপকদের বাংলো হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, তেলিয়াপাড়ার বাংলোটিকে সংরক্ষণ করতে হবে। নইলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মূল্যবান এই স্মৃতি হারিয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে।