এত কিছুর পরও নির্বাচন নিয়ে ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলের দোলাচল কেন


ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার অর্থ হলো দেশবাসীকে নির্বাচনী ট্রেনে ওঠার জন্য বাঁশি বাজানো। কিন্তু তাঁদের ট্রেনে তোলার আগে এটা পরিষ্কার করা উচিত যে কোথায় গিয়ে সেটি থামবে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আরও কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, যার বেশির ভাগের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। যেমন গত তিন নির্বাচনে যাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে (পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড) ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া, সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্ব দেওয়া, বিগত সরকারের আমলে তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ না জানানো।

১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সীদের মধ্যে যাঁরা বিগত ৩টি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, তাঁদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারের ভাবনার সঙ্গেও কেউ দ্বিমত করবেন না। কিন্তু তাঁদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা ও আলাদা ভোটিং বুথ রাখার প্রস্তাব কোন যুক্তিতে, তা পরিষ্কার নয়। এতে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি আছে বলে মনে হয়। যেখানে ভোটারদের অর্ধেকের বেশি ১৮ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে, সেখানে তাঁদের আলাদা বুথ বা আলাদা তালিকা করার চিন্তা কেন? এ ধরনের প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্বকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *