২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁরা বলেন, এতে কিছুটা হলেও তাঁদের কষ্ট কমবে। তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, যাঁরা এর নেপথ্যে ছিলেন, তাঁদের বিচার চান।
শোকসভা উপলক্ষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে একটি চিঠি পাঠান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রাওয়ার চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হক চিঠিটি পড়ে শোনান।
সভায় সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) নূরুদ্দীন খানসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এবং শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার স্মরণে চিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় অনেককে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। এ উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। পরে শহীদের জন্য দোয়া করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘিরে লেখা বেদনাবিদুর সংগীতের লেখক, সুরকার ও গায়ক শিল্পী হায়দার হোসেন। তাঁকে রাওয়ার পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানো হয়।
পরে নিজের অনুভূতি জানিয়ে হায়দার হোসেন বলেন, ‘আমি এটাকে গান মনে করি না। এটা আমার মনের কথা, আমার অনুভূতির কথা।’