সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ (২৪ তারিখ প্রকাশিত) বাংলাদেশের সেনাপ্রধান রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানান, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে এই সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ভয়েস অব আমেরিকায় দেওয়া তাঁর এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদই নির্বাচনের তারিখ জানাবে।
সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপও (রূপরেখা) পাওয়া যাবে। নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। তবে সংস্কারের জন্য নির্বাচন কয়েক মাস বিলম্বিতও করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ১৯ নভেম্বর বলেছেন, অতিপ্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া হবে।
সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশের দৈনিক, বণিক বার্তাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে (২০ নভেম্বর প্রকাশিত) কবে নির্বাচন হবে, সে প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চাইলে তিনি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেবেন।
এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী, ভোটার, উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো, জাতিসংঘসহ দেশি–বিদেশি স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক চলছে।
ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার জনমত জরিপে তাই সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ এই দুটি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।