এই হাসপাতালেই আমি বহু সাক্ষাৎকার নিয়েছি। যাঁরা ইসরায়েলি হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন, যাঁরা হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য, আমি তাঁদের সাক্ষ্য নিয়ে রেখেছি।
ব্লকেডের মধ্যে থাকা প্রায় সব হাসপাতালের মতো, এই হাসপাতালও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার সাক্ষী। এই হাসপাতাল নিজেও একটি গণহত্যার স্থান। এখানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাসপাতালের প্রাঙ্গণে অস্থায়ী তাঁবুতে থাকা বাস্তুচ্যুত বেসামরিক মানুষদের জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার ঠিক আগে ও পরে, আমি হাসপাতালের ভেতর ৯ জন ফিলিস্তিনির সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা ছিলেন বাস্তুচ্যুত মানুষ, সাংবাদিক, কেউ বা রোগী। তাঁদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে তাঁরা প্রথম কী করতে চান। তাঁদের উত্তর ছিল একটাই। কত সহজ কিন্তু অসম্ভব হৃদয়বিদারক এক চাওয়া। তাঁরা উত্তর গাজায় নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে চান।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া আমরা কাছ থেকে দেখেছি, ইসরায়েল কীভাবে উত্তর গাজায় রয়ে যাওয়া মানুষদের প্রতি হিংস্র পশুর মতো আচরণ করেছে। গাজা থেকে বাসিন্দাদের তাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েল নিরন্তর কাজ করেছে। জোরপূর্বক উচ্ছেদের আদেশ, ক্ষুধার্ত রাখা, গণহত্যা—কিছুই বাকি ছিল না। এরপরও যাঁরা বাড়ি ছাড়তে অস্বীকার করেছেন, তাঁদের সরাসরি হত্যা করা হয়েছে।