১৯ জুন
ইসরায়েল নাতানজ ও খোন্দাব পারমাণবিক স্থাপনাসহ ইরানের বহু স্থানে হামলা চালায়। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা তেহরানে ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে। কারাজ শহর ও পায়াম বিমানবন্দরের কাছেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ইরানের আরাক শহরে ভারী পানির (ডিউটেরিয়াম অক্সাইড মিশ্রিত থাকে) পারমাণবিক চুল্লিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
অন্যদিকে ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ ইসরায়েলের বিরসেবা শহরের সরোকা হাসপাতালে আঘাত হানে। এ ঘটনায় দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। কিন্তু ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনার দাবি, হাসপাতাল নয়, এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ও গ্যাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত গোয়েন্দা ঘাঁটি।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে যুক্ত হবে কি না।
ইসরায়েলের তথ্যমতে, ইরানি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের ৫ হাজার ১১০ জনকে বাস্তুচ্যুত ঘোষণা করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্টস বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩২০ জনের বেশি।
(সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি, এএফপি)